নিজস্ব প্রতিবেদক: উপজাতি তিন জন অপহরণের পর থেকে পরিবারের সদস্যরা উৎকণ্ঠায় ছিল৷ সম্প্রীতির কাউখালীতে এই অপহরণ ঘটনা নিয়ে উপজেলা ও জেলাসহ সর্বত্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। আকস্মিক অপহরণ ঘটনা হতবিহ্বল করে সবাইকে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি-সম্প্রীতি, উন্নয়ন ও মানুষের নিরাপত্তাসহ পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে সেনাবাহিনী কাজ করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় অপহরণের পরপরই উদ্ধার তৎপরতায় নামে সেনাবাহিনী।
রাঙ্গামাটি সদর জোনের সেনা তৎপরতায় ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা তিন অপহৃতদের অদ্য মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারী ২০২৩) সন্ধ্যায় ছেড়ে দিতে বাধ্যহয়।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহন করায় আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফ প্রসিতমূলদল কর্তৃক অপহরণের শিকার হয় উপজাতি তিন জন। নির্বাচনের পরের দিন গতকাল ৮ জানুয়ারী সকালে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার কাউখালী উপজেলার কলমপতি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বড় আমছড়ি এলাকা থেকে তাদেরকে অপহরণ করে। অপহৃতরা সকলেই কলমপতি ইউনিয়ন ৭ নং ওয়ার্ড এর বাসিন্দা।
সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইউপিডিএফ কর্তৃক অপহরণের ৩০ ঘন্টার মধ্যে অপহৃতদের উদ্ধার করে মানবতার পরিচয় দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রাঙ্গামাটি রিজিয়নের রাঙ্গামাটি সদর জোন।
সদর জোন ও কাউখালী ক্যাম্পের সেনাবাহিনী অপহৃতদের উদ্ধারে বিশেষ তৎপরতা ও অভিযান পরিচালনা করে। অব্যাহত সেনা অভিযানে সন্ত্রাসীরা অপহৃত- ১. চাখিয়াই মং মারমা (২২), পিতা রুইপা অং মারমা,
২. বাদো মারমা (৩০), পিতা- চাথোয়া অং মারমা, ৩. চিংথোয়াই প্রু মারমা (২৫), পিতা সালাপ্রু মারমা-কে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।
উদ্ধার হওয়া তিনজনকে আইনী প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে বলে জানা গেছে৷
সেনা তৎপরতায় উদ্ধার খবরে পরিবার ও এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। এই খবরে সকলে সেনাবাহিনীকে সাধুবাদ জানিয়েছে।